মহিলার মিথ্যা থেকে পুরুষের পাঞ্জা

মহিলার মিথ্যা থেকে পুরুষের পাঞ্জা লিখেছেন আত্মজ উপাধ্যায় বিষয় হল ৪৯৮ এ ফৌজদারী মামলা নারী নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য অপব্যবহার করে। অথচ যৌতুক ও যৌতুকের দাবি নিয়ে নারী হত্যার বিচারের জন্য, একপেশে মহিলাদের জন্য আইন বানানো হয়েছিল ১৯৮৩ সালে।

সৌজন্যে লাইভ ল

The Hon’ble Supreme Court of India in its recent judgment of Social Action Forum for Manav Adhikar and Another v Union of India Ministry of Law and Justice and Others revisited the important issue relating to Section 498-A of the Indian Penal Code, 1860 (hereinafter referred to as “the IPC”). Section 498-A was brought into the IPC in the year 1983 to curb the menace of cruelty to married women, which often led to dowry deaths.

পুরুষের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার অস্ত্র হিসাবে ৪৯৮ এ ধারার প্রয়োগ অবাঞ্ছনীয়

ভারতীয় আইন অনুসারে, আইপিসির ধারা ৪৯৮ এ বলা হয়েছে-

 “কোনও মহিলার স্বামী বা স্বামীর আত্মীয় তাকে (কোন বিবাহিতা স্ত্রীকে) নিষ্ঠুর আচরণের, নির্মমতার শিকার বানায়,  তিন বছরের জন্য কারাদণ্ড দেওয়া হবে এবং জরিমানার জন্যও দায়ী করবে।”(“Husband or relative of husband of a woman subjecting her to cruelty, shall be subject to imprisonment for a term of three years and shall also be liable to fine.”) -Section 498a IPC

ধারা ৪৯৮ এ। আইপিসির অপব্যবহার এবং মিথ্যা 498A এর মামলা অনেক বেড়েছে। সুস্পষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত এবং সহজ পারস্পরিক বিবাহবিচ্ছেদ প্রক্রিয়ার অভাবে 499Aদিয়ে মহিলারা নিজেদের স্বার্থ নিষ্পত্তি করার জন্য প্রায়শই অপব্যবহার করছে। দেখা গেছে যে এই আইনগুলি মহিলারা যে পুরুষের প্রতি অপরাধ করে তা স্বীকার করেনা, বা পুরুষকে কোন সুরক্ষা দেয়না যখন মহিলাদের সাথে তুলনা করা হয়  ব্যবস্থাটিতে একটি স্পষ্ট বৈষম্য আছে। মহিলারা প্রায়শই, মিথ্যা মামলা করে পুরুষকে শায়েস্তা করার জন্য, এটা গত কয়েকবছর ধরে দেখা গেছে।

যদি এমন অবস্থা কোন পুরুষের হয়, তিনি তার স্ত্রীর মিথ্যা মামলায় ফেঁসে গেছেন, তাহলে তার করণীয়ঃ

আপনার স্ত্রী বা তার আত্মীয়দের সাথে কোনও এসএমএস, ইমেল, চিঠি, কল রেকর্ডিং ইত্যাদি SMS, emails, letters, call recordings, etc সহ আপনার বা আপনার পরিবারের সদস্যের মধ্যে যে কোনও কথোপকথন প্রমাণ যা আপনার পক্ষে-

        ২এমন কোনও প্রমাণ যা প্রমাণ করে যে আপনার স্ত্রী স্বেচ্ছায় আপনার বাড়ি থেকে চলে গেছে।

       ৩ বিয়ের আগে বা পরে যৌতুকের দাবি আপনারা কখনো করেননি এমন কোনও প্রমাণ

এগুলি হাতের কাছে রাখা দরকার। এগুলি সাক্ষ্য দেবে আপনার স্ত্রী মিথ্যা মামলা সাজিয়েছে।

আপনি কোন ফৌজদারী প্রতিরক্ষা মামলার আইনজীবির শরণ নিন। নিয়োগ করুন। একটা আগাম জামিনের আবেদন করুন। ( ৪৩৮ এর অধীনে 498a আইপিসি মামলা বিরুদ্ধে সুরক্ষার জন্য আগাম জামিনের জন্য আবেদন করতে পারেন anticipatory bail for protection against section 498a IPC case under Section 438 of CrPC) Section 438 of CrPC – Under Section 438 of the Code of Criminal Procedure এর ধারায়, হাইকোর্ট বা সেসন কোর্ট যদি দেখে ব্যক্তির আবেদন গ্রাহ্য হবার মতো কারণ রয়েছে তাহলে আগাম জামিন পাওয়া যায়।

498a এফআইআরকে বাতিল করুনঃ

আপনি ( by High Court ) under Section 482 of CrPC অধীনে উচ্চ আদালত আপনার  এফআইআর বাতিল করতে পারেন। আদালত সাধারণত একটি এফআইআর বাতিল করতে বা আইন শৃঙ্খলা প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করতে নারাজ, তবে আপনার কাছে যদি প্রমাণ থাকে আপনার স্ত্রীর  দায়ের করা মিথ্যা 498A এফআইআর, তাহলে বাতিল করতে আদালতের ক্ষমতা রয়েছে।

মিথ্যা 498A অভিযোগের জন্য আপনার স্ত্রীর বিরুদ্ধে এফআইআর করুনঃ

 আপনার বিরুদ্ধে ব্ল্যাকমেলিং বা মিথ্যা 498A মামলা করার জন্য আপনি আপনার স্ত্রীর বিরুদ্ধেও এফআইআর করতে পারেন। ভারতে পুলিশ সাধারণত এ জাতীয় এফআইআরকে সমর্থন করে না, তবে আপনি যদি নিজের মামলার উপর বিশ্বাস থাকে, আপনার কাছে প্রমাণ করার ক্ষমতা থাকে, আপনি এগিয়ে যেতে পারেন। পুলিশ আপনার স্ত্রীর বিরুদ্ধে এফআইআর করতে অস্বীকার করতে পারে। আপনার অভিযোগ একজন ভাল ফৌজদারি আইনজীবি দ্বারা খসড়াটি বানান যাতে পুলিশ কোনও কারণেই আবেদনটি প্রত্যাখ্যান করতে না পারে। যদি পুলিশ আপনার এফআইআরটি রেজিস্ট্রেশন করতে অস্বীকার করে, আপনি সেই থানার সুপারিন্টেন্ডারের কাছে, পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে পারেন।

বিবাহবন্ধনের অধিকার পুনঃস্থাপনের জন্য মামলা দায়ের করুনঃ আপনার স্ত্রী যদি তার বৈবাহিক বাড়ি ছেড়ে চলে যান এবং তার পুরাণো (বিয়ের আগে যেখানে ছিল) পরিবারের কাছে চলে যায়, আপনি আর সি আর এর জন্য মামলা করতে পারেন অর্থাৎ হিন্দু বিবাহ আইনের ধারা 9 এর অধীনে (a case for RCR i.e. restitution of conjugal rights against your wife under Section 9 of Hindu Marriage Act) আপনার স্ত্রীর বিরুদ্ধে বিবাহবন্ধন অধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য মামলা করতে পারেন। আপনার সাথে আরও একবার জীবনযাপন শুরু করতে তাকে যে সমস্ত শর্তাদি অনুসরণ করতে হবে তা আপনি উল্লেখ করতে পারেন।

মিথ্যা 498A মামলার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করুনঃ আপনার বিরুদ্ধে মিথ্যা 498A মামলা দায়ের করে আপনার সামাজিক ভাবমূর্তী নষ্ট করার জন্য আপনি আপনার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলাও করতে পারেন।

মাথায় রাখবেন, এই মামলা লড়াইয়ের বেলায়, আপনার প্রমাণ – তথ্যাদি ও আপনার উকিল যেন যথেষ্ট অভিজ্ঞতাসম্পন্ন হন।

সুপ্রিম কোর্ট ভারতে ৪৯৮-(এ) মামলার  প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষের জন্য বিচার বা মোকাবিলার  নির্দিষ্ট নির্দেশিকা জারি করেছিল যা হ’লঃ

     প্রতিটি জেলায়, বিভাগ আইন ৪৯৮ এর অধীন দায়েরকৃত মামলাগুলি দেখাশুনা করার জন্য জেলা আইনজীবি কর্তৃপক্ষ দ্বারা( the District Legal Services Authorities) বা একাধিক পরিবার কল্যাণ কমিটি গঠন করতে হবে।

     পুলিশ বা ম্যাজিস্ট্রেট,  ধারা 498A আইপিসির অধীনে সমস্ত অভিযোগ সেই কমিটিতে পাঠাবেন।

     কমিটি  বিষয়টি খতিয়ে দেখবে এবং অভিযোগগুলি সম্পর্কে বিস্তারিত বিষয়/ প্রতিবেদন লিখে যেই কর্তৃপক্ষ পাঠিয়েছিলেন সেই কর্তৃপক্ষের কাছে ৩০ দিনের মধ্যে ফেরত পাঠাবেন।

     কমিটি দ্বারা প্রতিবেদন না আসা পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারবেনা।

     যদি 498A এর আগাম জামিন এক দিনের নোটিশ দিয়ে পূর্ণ করা হয় তবে কেবলমাত্র সেই সময়ের মধ্যেই এটি সিদ্ধান্ত নিতে হবে ।

     পরিবারের সকল সদস্যের ব্যক্তিগত উপস্থিতি আদালতে প্রয়োজন না ও হতে পারে এবং ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতি  অবশ্যই অনুমতি দিতে হবে।

গ্যারান্টিযুক্ত অধিকার

যদি কোনও মহিলাকে যৌতুকের জন্য হয়রান করা হয় বা তার জন্য হুমকির শিকার করা হয়, বিয়ের আগে, তার আগে বা পরে, তার স্বামী, তার পরিবার বা শ্বশুর-শাশুড়িকে যৌতুক আইন, ৪৯৮এমনকি৩০৪ ধারা অনুযায়ীও শাস্তি দেওয়া যেতে পারে, (‘৩০৪ এ’ ধারার ক্ষেত্রে জীবন হুমকির সম্মুখীন হয়েছে দেখাতে হবে)।

 498A আইপিসি মামলার বিরুদ্ধে আইনী সুরক্ষা না থাকা সত্ত্বেও, আমরা আপনার জন্য  একটি তালিকা চিহ্নিত করেছি, যা এই ক্ষেত্রে সহায়ক হতে পারে, যদি আপনি আপনার স্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রতিমামলা মামলা করতে চান তবেঃ

    যদি আপনার স্ত্রী আপনার বিরুদ্ধে কোনও অপরাধের ষড়যন্ত্র করে, তবে সেকশন ১২০র বি আইপিসির under Section 120B IPC অধীনে আপনি তার বিরুদ্ধে মামলা করতে পারেন।

    যদি আপনি সন্দেহ করেন যে আপনার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রমাণ গঠন করা হয়েছে বা উপস্থাপন করা হচ্ছে তবে ধারা ১৯১ আইপিসির অধীনে under Section 191 IPC, আপনি ভুলভাবে ফ্রেম হয়েছেন বলে অভিযোগ করে আপনি মামলা করতে পারেন।

    মানুষ  সামাজিক, খ্যাতি তার জন্য সবকিছু। সুতরাং যদি সে আপনাকে এবং আপনার পরিবারকে মিথ্যা বা মিথ্যাভাবে আদালতে টেনে আনার হুমকি দেয় তবে আপনি আইপিসির ৫০০ ধারার অধীনে under Section 500 of IPC.মানহানির একটি পাল্টা মামলা দায়ের করতে পারেন।

    এমন পরিস্থিতিতে যেখানে আপনার স্ত্রী আপনাকে বা আপনার পরিবারকে বা আপনার সাথে সম্পর্কিত কোনও কিছুর ক্ষতি করার জন্য হুমকি দেয়, তার প্রমাণ সংগ্রহ করুন এবং আইপিসির ৫০৬ ধারায় under Section 506 of IPC আদালতে ব্যবহার করুন।

    যদি আপনি মনে করেন যে আপনার স্ত্রীর দ্বারা আনা অভিযোগটি মিথ্যা তবে আপনি ২২৭ ধারা under Section 227 অনুযায়ী আপনার স্ত্রীর  498A মামলাটি মিথ্যা বলে আবেদন করতে পারেন।

    আপনার কাছে পর্যাপ্ত প্রমাণ থাকলে বা অভিযোগ প্রমাণ করার পক্ষে আপনার স্ত্রীর কাছে পর্যাপ্ত প্রমাণ না থাকলে,  বিচারক কেবল ৪৯৮ এ মামলা খারিজ করে দেবেন কারণ ্তিনি ধরে নেবেন ঘটনা সাজানো।

   যদি  আপনার স্ত্রী বাড়িতে প্রবেশ করে, একটি দৃশ্য তৈরি করে এবং একটি ‘সুরক্ষা আধিকারিকের”protection officer’  কাছে যায় এবং মিথ্যা বলে যে, আপনি তাকে ‘শারীরিক, মানসিকভাবে বা অর্থনৈতিকভাবে’ বাজে ব্যবহার করেছেন, তার বিরুদ্ধে সিপিসির ৯ নং ধারায় under Section 9 of CPC ক্ষয়ক্ষতি পুনরুদ্ধারের মামলা দায়ের করুন।

আইনত, আপনাকে অবশ্যই একই দিন বা পরের দিন নোটিশ জারি করতে হবে। মামলা দীর্ঘদিন চলবে। এর কোনও ঝুঁকি নেই।

ভারতীয় আদালত এবং প্রয়োগকারীরা  ক্রমবর্ধমান সংখ্যক মিথ্যা মামলার কারণে ধারা 498A সম্পর্কিত মামলাগুলি বিচারের সময় সজাগ হয়ে উঠেছেন। তবে, যদি আপনি এমন কোনও শিকার হন যার 499a ধারা আইপিসি মামলার বিরুদ্ধে সুরক্ষা প্রয়োজন, তবে আপনার সমস্ত আইনি অধিকার সম্পর্কে সচেতন হোন এবং সেগুলি ব্যবহার করুন।

বেশ্যাবৃত্তি। একটা মহান কাজ।

অ্যালবার্ট অশোক

Sex worker statue Oudekerksplein Amsterdam

Statue to honor the sex workers of the world. Installed March 2007 in Amsterdam, Oudekerksplein, in front of the Oude Kerk, in Amsterdam’s red-light district De Wallen. Title is Belle, inscription says “Respect sex workers all over the world.”

বিশ্বের যৌনকর্মীদের সম্মান জানাতে মূর্তি প্রতিষ্ঠা। মার্চ ২০০৭ সালে এটি ইনস্টল করা হয়েছে, আমস্টারডামের রেড-লাইট এলাকা ডি ওয়ালেনের ওডে কার্কের সামনে ওডেকারসপ্লেইনের । শিরোনাম ‘বেল’, শিলালিপিটিতে বলা হয়েছে “সারা বিশ্বের যৌনকর্মীদের সম্মান করুন।

বেশ্যাবৃত্তি। একটা মহান কাজ। মানুষ চরম আনন্দ পায়, স্বার্থ পায়।

সারা বিশ্বব্যাপী এর আলোচনা ও স্বীকৃতি। ফলে মিডিয়াগুলিতে এর প্রতিফলন দেখা যায়।


কথাটা শুনে আপনার – যারা সংকীর্ণমনের – কষ্ট পাবেন। কারণ আপনি জেনে ছোটবেলা থেকে জেনে এসেছেন, মহিলারা বিপাকে পড়ে বেশ্যা বৃত্তি করে, বা কেউ তাদের জোর করে বেশ্যালয়ে বিক্রী করে দিয়ে গেছে। তারা ক্রীতদাস। তাদের জন্য আপনার মন কেঁদেছে। হ্যা একসময় এটাই ছিল সত্য। কিন্তু বাস্তবিক তা ছিলনা। মেয়েরা নিজেরাই বেশ্যা বৃত্তি ছাড়তে চায়না। অনেক উদ্ধার প্রক্রিয়া, সরকারি ও বেসরকারি স্তরে করা হয়েছে, মেয়েরা সামনে দেখায় তারা ভিক্টিম বা বলি, পিছনে তারা হাসে। কারণ তারা ভিক্তীম বললে তারা অনেক আইন থেকে বেঁচে যায় ও সাহায্য পায়। সহানুভূতি পায়। আর একদল লোক বিশেষ করে তাদের সাথে যারা জড়িত তারা অপরাধী সেজে জেলে যায়। ধরুন, কোন পুরুষ বা মহিলা, কোন মহিলাকে বেশ্যালয়ে পয়সা রোজগারের জন্য নিয়ে এল। আইনের ভাষায় সেই পুরুষ বা মহিলা কিন্তু অপরাধী। আইন বলবে, তুমি লোক পাচার করছ, বিক্রী করছ। অতএব তুমি জেলে যাও।
এই যে ধারণা গুলি, আইনগুলি, পালটে যাবে। কারণ সার্বজনীন মানবাধিকারের যে ৩০ টি অনুচ্ছেদ আছে, ১৯৪৮ সালে ইউনাইটেড নেশন ঘোষণা করেছিল, তার ২৩ নং অনুচ্ছেদে লেখা আছেঃ

১। প্রত্যেকেরই কাজ করার অধিকার রয়েছে, নিখরচায় কর্মসংস্থান বেছে নেওয়া, কাজের ন্যায়সঙ্গত ও অনুকূল শর্ত এবং বেকারত্বের বিরুদ্ধে সুরক্ষার অধিকার।
২. প্রত্যেককে, কোনও বৈষম্য ছাড়াই সমান কাজের জন্য সমান বেতনের অধিকার রয়েছে।
৩. যে কেউ কাজ করে তার নিজের এবং তার পরিবারের জন্য মানব মর্যাদার অধিকারী একটি অস্তিত্ব নিশ্চিত করার এবং প্রয়োজনে, সামাজিক সুরক্ষার অন্যান্য উপায়ে পরিপূরক, অধিকার এবং অনুকূল পারিশ্রমিকের অধিকার রয়েছে।
৪. প্রত্যেকেরই তার স্বার্থরক্ষার জন্য ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের এবং যোগদানের অধিকার রয়েছে।

প্রত্যেকটা দেশ ইউনাইটেড নেশনের মধ্যে যুক্ত ও দায়িত্ববদ্ধ। অর্থাৎ ইউনাইটেড নেশন যা ঘোষণা করবে তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করবে।

আজকে আপনি যাকে বেশ্যা বলছেন সে একটা কাজ করে, নাম যৌন কর্ম, তাদের পোশাকী নাম যৌন কর্মী। যারা তাদের এই পেশায় নিয়ে আসে তারা দালাল, তারাও তাদের কাজ করে খায়। তারা দু একজন নয়, পৃথিবীতে ৬ কোটী যদি বেশ্যা হয় তবে দালাল ১ কোটি। এটা একটা ইন্ডাস্ট্রী।

International Labour Organization (ILO)


ইউনাইটেড নেশনের একটা অফিসের নাম আন্তর্জাতিক শ্রম সংগঠনInternational Labour Organization (ILO)। এই অফিসের বয়েস ১০০ বছর, ১৯১৯ সালে প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। তারা ২০১০ সালে ঘোষণা করেছে, যৌন কর্ম আসল কাজ বলে। এবং প্রত্যেক রাস্ট্রকে বলে দিয়েছে, পুলিশ যেন যৌন কর্মীদের ধর পাকর না করে। শুধু তাই নয়। যৌন কর্ম কে সম্মানের সাথে কাজের মর্যাদা দিয়েছে। কেউ এই কাজকে অসম্মান করলে আইন অনুযায়ী শাস্তি হবে। ফলে যৌনকর্মীরা ও দালালেরা একটা আইনী বল পেল।

আমেরিকান সিভিল লিবারটিজ ইউনিয়ন


কনজিউমার আইন অনুযায়ী, যে কোন প্রোডাক্ট বাজারে এলে তা কেনার ক্ষমতা সর্বসাধারণের রয়েছে। ফলে অনেক রাস্ট্র, যৌনকর্মের ক্রেতাকে আইনে ফাঁসানোর চেষ্টা করে বেশ্যাদের নিরুৎসাহ দেবার চেষ্টা করছে। এবার ক্রেতা যদি চ্যালেঞ্জ করে সরকার বা পুলিসকে তা হলে আন্তর্জাতিক নিয়মে পুলিস ফেঁসে যাবে।
ছাড়ুন বেশ্যা বৃত্তির কথা। মেয়েরা যৌন কর্মকে সবচেয়ে সহজ ও উপায়ের বড় রাস্টা ভাবে। হলে কল গার্ল, এসকর্ট বিজনেসে, আন-অর্গানাইজড যৌনকর্মীরা আপনার চোখে সবসময় ফাঁকি দিচ্ছে। আজকাল ফোন ও ইন্টারনেট, প্রত্যেককে তার পেশার সংযোগ করাচ্ছে। সিনামে শিল্প থেকে শুরু করে মডেল, বা মেসেজ পার্লারের মহিলারা বেশ্যা বৃত্তি করছে, মধুচক্র করছে, ঘরের লোকেরাও জানেনা, তাদের মেয়ে বা মহিলা কি করে টাকা কামায় করে। কেউ জানতেও চায়না। টাকা উপায় হল বড় কথা।
নারীবাদীদের দল এব্যাপারে দুভাগে বিভক্ত। যারা মি টু আন্দোলন করেছিল তারা চাইছে বেশ্যা বৃত্তি বন্ধ হোক। কিন্তু আরেকটা বড় দল চাইছে। যৌন কর্ম খুব খারাপ পেশা নয়। অন্তত, রাস্তায় নেবে ঘাম ঝরানোর বিষয় নয়।কিছু পেলে যৌনকর্ম করতে আপত্তি কোথায়? যৌন কর্ম প্রত্যেকেই, প্রতিদিনই একাধিকবার অনেকেই করে।

যৌন কর্ম আসলে একটা ঈর্ষাপরায়ণতা থেকে একে অপরকে নিরুৎসাহ করে। নিজে করলে দোষ নেই, কিন্তু অপরে করলে দোষ। এ এক মজার বিষয়।যেসকল রোগ যৌন কর্মের সাথে জড়িত সেসব থেকে সাবধান থাকলে মিঞাবিবি রাজী তো ক্যায়া করেগা কাজী?
মি টু আন্দোলনকারী নারীবাদীরা আসলে একটা ঘোরে আছে। তারা পুরুষকে দমাতে চায়। তারা পুরুষের উপর কর্তৃত্বতা চায়। আর এটা কোন দিন সম্ভব নয়। মি টু করে তারা পুরুষকে লজ্জিত করেছে। আসলে সব পুরুষ জানে এই মহিলারা সুবিধা বাদী ও বিশ্বাসঘাতক। তারা পুরুষের কাছে সুবিধা নিয়েছে, টাকা নিয়েছে বেশ্যার মত, স্ফুর্তি করেছে আর ভিক্টিম সেজে পুরুষকে লজ্জা দিয়েছে। পুরুষ লজ্জা পাবার নয়। সে কোন অপরাধ করেনি। কিন্তু একটা প্রচারের বলি হয়েছে। এরপর তারা সাবধানে কাজ করবে। মিটু আন্দোলন নারীকে কর্মসংস্থান থেকে অনেকে ছাটাই করেছে, বা সন্দেহে দাবিয়ে রেখেছে। অনেকের কাজ পাবার প্রত্যাশা নষ্ট করেছে।


বেশ্যা বৃত্তি মিটু আন্দোলনের শত্রু।
পৃথিবীতে ৭৬৫ কোটি নরনারী, পুরুষ তার অর্ধেক.৩৮৩ কোটি পুরুষ, এর মধ্যে সক্রিয় ৬ কোটি বেশ্যা অর্গানাইজড। ভাবুন এই বিশাল সংখ্যার উপায়ের উৎস যৌনকর্ম। মানে গড়ে ৬৪ জন পুরুষ পিছু একজন বেশ্যা, এছাড়া প্রতি পাড়াতেই অবৈধ সম্পর্ক ( যেখানে স্বার্থ বা অর্থ জড়িয়ে) থাকে, মেসেজ পার্লার, মডেল বা সিনেমার মহিলাদের আকাশ ছোঁয়া যৌনকর্মের মূল্য। তো এতবড় একটা ইন্ডাস্ট্রী আপনার পছন্দ হোক বা না হোক, ইউনাইটেড নেশন তাদের পিছনে আছে। আন্তর্জাতিক শ্রম সংগঠন তাদের পিছনে স্বীকৃতি দিয়ে আছে।