বিবাহঃ নারী পুরুষের যৌনমিলনের অনুমতি? -১ এর পরের অংশ
আত্মজ উপাধ্যায়
আমরা কি বিবাহের খোলনলচে পালটে অধিক স্বাধীনতা নরনারীকে দিতে পারি?
হ্যাঁ, নিশ্চয়ই ভাবতে পারি ও দিতে পারি। কারণ এই প্রতিষ্ঠান ৪৫০০ বছরের পুরাণো, এই কয় বছরে পৃথিবীর বহু পরিবর্তন হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠান মানুষের তৈরি, মানুষের শৃংখল। একধরণের সামাজিক আইন। আইন সমাজের সময়ের সাথে চলে.৪৫০০ বছর আগে যে সমাজ ছিল আজ সেই সমাজ নেই। সুতরাং খোলনলচে প্রয়োজনে পালটানো দরকার ও সম্ভব।
লিংগ সম্পর্কের প্রয়োজন ও আমূল পাল্টানোর কারণঃ
বিয়ে দুই বিপরীত লিংগকে সন্তান জন্ম দেওয়া ছাড়াও নানা সাহায্যের জন্য পারস্পরিক বোঝাপড়া দেয়, যাতে জীবন মসৃণ হয়। বিয়ে ছাড়া সন্তানকে দায়িত্ব নিয়ে বড় করে গড়ে তোলা অসম্ভব। সন্তান শুধু বার্ধক্যে অবলম্বন নয়, সম্পত্তির উত্তরাধিকারীও বটে, এছাড়া মানুষের মানসিক আবেগ ও সুখ।
সারা পৃথিবীতে বিয়ের হাজার রকম প্রথা রয়েছে। প্রায় সব প্রথাই বিয়ের মাধ্যমে পরাধীন বানিয়ে ফেলে, যে পরাধীনতা আজকের দিনে মনে হয় ব্যক্তি জীবনকে বাড়িয়ে মানবিক উৎকর্ষে যাওয়ার পথে বাধা। যেমন ধরুন একজন বিবাহিত মহিলা স্বপ্ন দেখতেন, তিনি গান নিয়ে বেড়ে উঠবেন, সংসার নাকি তার পথের বাধা। বা তিনি কপাল চাপড়ান এই বলে, তার স্বামী তাকে কিছু করতে দেয়না।
ঠিক উল্টোদিকে, স্বামীরও ধরুন ভ্রমণের সখ, কিছুতেই সেই সখ পূরণ করতে পারছেননা, কারণ, তাকে সংসার চালিয়ে, পরিবারের সকলের সাথে থাকতে গিয়ে কোথাও যেতে পারছেননা, টাকাপয়সা জমাতে পারছেননা, তিনি মুক্ত থাকলে করতে পারতেন।
এরকম বহু বিষয় আছে, চলিত বিয়ে প্রথা মানুষের কাছে দুঃস্বপ্ন হয়ে উঠছে। এর থেকে মুক্ত হওয়ার আগে চলুন দেখি পৃথিবীর জনগণের অবস্থা ও বিয়ের মূল শ্রেণিগুলিতে লাভলোকসান কি চলছে।
পৃথিবীর জনগণের অবস্থা ও বিয়ের মূল শ্রেণিগুলি
বর্তমান মার্কিন আদমশুমারি ব্যুরো বিশ্বের জনসংখ্য ২০২০ সালে পৃথিবীতে জনসংখ্যা ৭,৮৩০,১৯০,০০০ জন অর্থাৎ৭৮৪ কোটি প্রায়। ধর্মীয় ভাবে নানা শৃংখলা বিবাহ ঘিরে। মানুষের মধ্যে কত রকম ধর্মীয় বিভাগ বা শ্রেণি আছে? নারী কত পুরুষ কত? এবং তাদের মধ্যেকার ধর্মীয় বিভাজন কত? তারা কি কি সুবিধা অসুবিধা ভোগ করেন?
যদিও ধর্মীয় জনসংখ্যা বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গেছে সংখ্যার তারতম্য তবু ধরা যায়, মোটামুটি খ্রিস্টান, মুসলমান, ও হিন্দু এই ৩টি বড় সংখ্যক।
খ্রিস্টান – ২৩৮কোটি (২,৩৮০,০০০,০০০)
ইসলাম – ১৯১কোটি (১,৯১০,০০০,০০০)
হিন্দু ধর্ম – ১১৬কোটি (১,১৬০,০০০,০০০)
বৌদ্ধধর্ম – ৫০কোটি (৫০৭,০০০,০০০)
লোক ধর্ম – ৪৩ কোটি (৪৩০,০০০,০০০)
অন্যান্য – ৬কোটি ১০ লক্ষ (৬১,০০০,০০০)
আনএফিলিটেড– ১১৯কোটি (১১৯০,০০০,০০০)
এছাড়া নাস্তিক আছে যথেষ্ট- ৫০ থেকে ৭০ কোটি।
বিবাহ নিয়ে এদের নানা আচার ও নিয়ম আছে। বহু ধর্মে বহু বিবাহ প্রচলিত, বহু রাস্ট্রে ধর্মীয় শাস্ত্র হল আইন। মুসলিমদের মধ্যে পুরুষেরা ৪জন স্ত্রী অবধি রাখতে পারেন। এছাড়া নানা উপজাতিদের মধ্যে নানা বিবাহের সংস্কৃতি। প্রায় ধরে নিন ২০০ কোটির মত মানুষ বহুবিবাহ করে জীবন যাপন করে। আর বাকী ধর্মের মধ্যে লুকিয়ে চুরিয়ে নারী পুরুষ একসাথে বা একসাথে না হলেও একাধিক বিবাহ বা যৌনজীবনে অভ্যস্ত। তাহলে লুকিয়ে চুরিয়ে একাধিক যৌনজীবনের বাসিন্দা ধরুন ১০০ কোটি।মোট ৩০০ কোটি, মানে প্রায় অর্ধেক লোক যৌনজীবনের মজা নেয়, এবং তাতে সামাজিক কোন বাজে , মন্দ প্রভাব নেই। অথচ সরকার প্রতিটী রাস্ট্রের বড় নজরদারী করে ও পুলিশকে ঘুষ খাওয়াবার বন্দ্যোবস্ত করে রেখেছে। এই সামাজিক আচরণ বা পদ্ধতি কি ঠিক? বয়েসও অনেক ফারাক নিয়ে আসে বিবাহে। ১২ বছর থেকে পরাম্পরায় ও সরকারি ১৮ বছর বয়েস (মেয়েদের) মান্যতা থেকে বিয়ে দেখা যায়, যারা অল্প বয়েসে বিয়ে করে তাদের জুটি আর যারা ৩০ বছরের (মেয়েদের) পরে বিয়ে করে তাদের জুটি অনেক ইতিবাচক ও নেতিবাচক দাম্পত্য হয়। শহরের ও গ্রামের, শিক্ষিত ও অশিক্ষিতদের মধ্যে, দুটি ধর্মের মধ্যে, আর্থিক দুই শ্রেণির মধ্যে বিয়ে নানা জটিলতা ও নেতিবাচক জীবন তৈরি করে। যেখানে নারী পুরুষ একে অপরের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করে, অভিযোগ আনে।
ভারত সহ বহু দেশে, বিয়ে যত সহজে অনুষ্ঠিত হয় বিচ্ছেদ তত কঠিন ও জটিল প্রক্রিয়া আইন ধারণ করে। বিয়েতে পণ কোন দেশে মেয়েদের বাড়ি থেকে, কোথাও ছেলেদের বাড়ি থেকে নেওয়া হয়। আর দাম্পত্য জীবনে বনিবনা না হলে বিচ্ছেদের ক্ষেত্রে খরপোষ দাবি একচেটিয়া ছেলেদের ঘাড়ে এসে চাপে। সর্বত্র আইন মহিলাদের পক্ষে সৃষ্টি করা। সব মহিলা বিয়ের পর ঘর কন্নার কাজে করেনা। মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্তদের মধ্যে ঘরের কাজ করার জন্য পরিচারিকা থাকে, বৌয়েরা শুধু সুখভোগের জন্য, ফুলদানিতে সুন্দর ফুল হয়ে শোভা বাড়াবার (?) জন্য।
বিবাহ প্রথা উচ্ছেদ করে, নতুন নিয়মে, কাজ ও পছন্দ নির্ভর করে,মাইনে/ বেতন দিয়ে পুরুষ/মহিলা-শ্রমে বিবাহ পর্যবসিত হলে সমাজের অনেক নরনারীর যৌন বিবাদ মুছে যাবে। নরনারী হবে পেশাদার স্বামী ও স্ত্রী। প্রতিটি মানুষ অধিক স্বাধীন ও নিজের জীবনকে নিজের মতো করে পাবে।
এই নিরিখে মহিলা শ্রম কত হতে পারে তার হিসাব।
২০১৬তে বিবিসিতে প্রকাশিত প্রতিবেদনে (The value of unpaid chores at home By Kevin Peachey, Personal finance reporter) বলা হয়েছে মহিলারা বা যারা ঘরোয়া কাজ কর্ম করেন, তাদের শ্রমের মূল্য কত হওয়া উচিত? যেমন রান্নাঘরের কাজ, ঘর ঝাড়্যদেওয়া, মোছা, বাচ্চা সামলানো,পরিবারে বয়স্কদের সেবা, বাগান দেখাশুনা, ছোটখাট মিস্তিরী গিরি করা , বাজার করা ইত্যাদিতে বাৎসরিক মাইনে – ২০১৪ সালের সমীক্ষা অনুযায়ী ৩৫-৪০ হাজার পাউন্ডের মতন (£38,162 per UK household over the course of a year.) এবার সেখানকার লোকেদের গড়ে বাৎসরিক আয় ও তেমন অর্থাৎ একজন সাধারণ লোকের আয় বছরে ৩৫-৪০ হাজার পাউন্ড। (সূত্রঃ findcourses.co.uk)
মোটামুটি এই হারে ( এটা অর্থনীতিবিদ্দের তৈরি করা , সূত্রঃ economictimes.indiatimes)
Essential expenses: 60% of the income
প্রয়োজনীয় ব্যয়: আয়ের ৬০% প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে ব্যয় করা উচিত।
Food and groceries: 18.8% খাদ্য ও মুদিগুলি: ১৮.৮%:
Healthcare (including insurance): 4%:স্বাস্থ্যসেবা (বীমা সহ): 4%:
Life insurance: 3% জীবন বীমা: 3%:
Housing: 20% আবাসন: 20%:
বাকী ৪০%
Utilities: 4% ইউটিলিটিস: 4%:
Education: 6% শিক্ষা: 6%:
Transport: 8%: পরিবহন: 8%:
প্লাস
Clothing: 7% পোশাক: 7%:
প্লাস
Savings: 20% should be invested for financial goals
সঞ্চয়: 20% আর্থিক লক্ষ্য জন্য বিনিয়োগ করা উচিত
প্লাস
Discretionary items: 20% বিচক্ষণ আইটেম: আয়ের 20% বিবেচনামূলক
Entertainment: 3% বিনোদন: 3%
Communication (including TV, internet):3% যোগাযোগ (টিভি, ইন্টারনেট সহ): 3%
ভারতের আয় গড়ে মাথা পিছু কমবেশি ৩০,০০০ টাকা ধরা হচ্ছে। সেই হিসাবে ২০২০ সালের নিরিখে একজন মহিলার সংসার সামলানোর মাইনে ৩০ হাজার টাকা।(বাস্তবে কলকাতার লোকেরা, ৬০ শতাংশ ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা উপায় করে সংসার চালায়) সে এই টাকা তার পরিবারের পিছু উপরোক্ত খরচ বিভাজন করে কত টাকা বাঁচাতে পারে সেটা হবে তার ডিভোর্সের সময় পাওনা। বা চুক্তিবদ্ধ বিয়ে করলে পাওনা নাও হতে পারে।
ইউরোস্ট্যাট সমীক্ষায় (Eurostat survey) দেখা গেছে, ১৯৯০ থেকে ২০০৩ সালের মধ্যে, (প্রথম) বিয়ের বয়স পুরুষের জন্য সামগ্রিকভাবে ২.৩ বছর এবং মহিলাদের ২.6 বছর বেড়েছে। মহিলারা ১৯৯০ সালে ২৪.৮ বছর এবং পুরুষরা ২৭.৫ বছর বয়সে বিয়ে করেছিলেন, তারা ২০০৩ সালে ২৭.৪ বছর এবং ২৯.৮ বছর বয়সে বিয়ে করেছেন। এছাড়া ইউরোপীয়রা আজকাল কম বিয়ে করে।
লিখেছেন এলিটসা ভুচেভা By Elitsa Vucheva (Brussels, 21. Nov 2008) সূত্রঃEUobserver.com (Belgium )
আয়ারল্যান্ড, ইতালি এবং স্পেনের মতো কয়েকটি দেশে ২০০৬ সালে দেখা গেছে, মহিলাদের প্রথম বাচ্চা জন্ম দেওয়ার বয়সও ক্রমবর্ধমানভাবে বেড়েছে , সেটা ৩১ বছর। সমান্তরালভাবে,ইউরোপের মোট বিবাহের সংখ্যা ১৯৭৫থেকে ২০০৫ সালের মধ্যে ৩০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে, from 3.45 million to 2.4 million।
ইউরোস্টাটের মতে এটি বিভিন্ন কারণে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে।
বিশ শতকের শেষভাগে, নিজের জীবনকে বেশি গুরুত্ব দেওয়ার কারণে দম্পতিরা বৈবাহিক অংশীদারিত্বকে সমর্থন করার জন্য যে ধরণের সমঝোতার প্রয়োজন তা গ্রহণ করতে কম আগ্রহী হয়ে পড়ছে। ঐতিহ্যবাহী বিবাহের Traditional marriage এর দিকে তারা তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছুক নন অনেকেই।
অধিকন্তু, আরও নির্ভরযোগ্য জন্ম নিয়ন্ত্রণের পদ্ধতিগুলি বিকাশ লাভ করেছে, এবং “মহিলা বেতনভোগী কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পেয়েছে। নারীদের তাদের জীবিকা নির্বাহের জন্য বৈবাহিক সম্পর্কের উপর কম নির্ভরশীল করে তুলেছে।”মহিলারা অনেক বেশি আগের চেয়ে স্বাবলম্বী। কিন্তু অনেকেই সন্তান নিতে চাননা, নিজের জীবনকে অধিক উপভোগ করবেন বলে।
অনেকের কাছে মহিলাদের সন্তান না চাওয়া, ব্যক্তিগত ব্যপার মনে করেন।
সামাজিক ধারণা এবং আইন দুটোই সেখানে, ইউরোপে, পাল্টিয়েছে। বিবাহবিচ্ছেদও সহজ হয়েছে। এবং “বিকল্প চুক্তিভিত্তিক জীবনযাত্রার ব্যবস্থা” আবির্ভূত হয়েছে (“alternative contractual living arrangements” have emerged.)।
ইউরোপের লোকেদের বয়স বাড়ছে। মানে, আগে যা অল্প বয়সে করত তা এখন বেশি বয়সে করছে। যেমন বিয়ে, কর্মসংস্থান ইত্যাদি। আশঙ্কা করা হচ্ছে। বয়স বাড়ার সাথে সাথে, বিয়ের অবসর না পাওয়ার জন্য, মহিলারা, নিজেদের কর্মসংস্থানের সাথে খাপ খাইয়ে, নিজেদের জীবন নিয়ে বেশি ভাবার জন্য, জনসংখ্যা কমে যাবার ও নতুন প্রজন্ম আশা করা অসম্ভব হয়ে যাচ্ছে।
মহিলারা অপরাধী ১০০ ভাগ হয়, বিয়ের বাইরেও মহিলারা টাকা রোজগারের জন্য শারিরীক ভাষায়, পোশাকের ভাষায়, পুরুষকে প্রলোভিত করে লুন্ঠন করে।যৌনসুখের দাম হিসেবে বহু টাকা নেয়, ব্ল্যাকমেল করে, ইত্যাদি করে, শরীর বিক্রী করে।
একটা মহিলা যদি এরকম করে, পুরুষ জেনে নেয় সব মহিলারা একই প্রকৃতির, ফলে যেই মহিলা শরীর বিক্রী করতে চায়না, সেই মহিলার কাছেও মন্দ বার্তা যায়। পুরুষ সেই মহিলাকে ধরতে গেলে ধর্ষণের দায় মাথায় নিতে হয়।তার জেল ফাঁসী হয়। সমাজের এই দ্বিমূখী নীতি, বন্ধ করার জরুরী প্রয়োজন।
বিয়ের খোল নলচে পালটে Paid Housewife বা paid House male বাংলাতে “বেতনভোগী স্ত্রী/পুরুষ” সিস্টেম শুরু হলে সারা পৃথিবীর নরনারীর যৌন সমস্যা উচ্ছেদ হয়ে যাবে। মহিলাদের সন্তান না রাখার ইচ্ছেও থাকবেনা।
বিয়ে প্রথা, একটা পুরুষকে তার মানসিকতা ও জৈবিকতা থেকে বঞ্চিত করে। Paid Housewife বা paid House male সিস্টেমে , চাকরির মত প্রতি বছর, বা একটা নির্দিষ্ট সময়। কিসের জন্য বেতন দেওয়া হচ্ছে তা চুক্তি বদ্ধ থাকবে। সেখানে বিবাহ জীবনে ধর্ষণের কথা কেউ আনতে পারবেনা।
একটা পুরুষের দরকার, ১) তার যৌন সঙ্গী ২) তার ঘরে রান্না ইত্যাদি ঘরমোছা কাপর ধোওয়া ৩) তার সন্তান।তার সন্তান সম্পর্কে নিশ্চিত করতেই, বিবর্তনে (Through Evolution) সে উপার্জন করেছে একটি সুস্পষ্ট উদ্দেশ্য পুরুষদের উৎসাহী এবং প্ররোচিত/তাড়িত যৌনচারণার. এটি বিবর্তনের লক্ষ লক্ষ বছরের ফসল। যেমনটি যেকোন স্তন্যপায়ী জীবের আছে। – প্রজাতি চায় তার বংশ ধারা অব্যাহত থাকুক, এবং সবচেয়ে জরুরী তার কাছে এই উদ্দেশ্যটি।
এবং বেশিরভাগ পুরুষ স্তন্যপায়ী প্রাণীর মতো, এই বংশধারা নিশ্চিত করতে গিয়ে,সেখানে সাফল্যতা আনার জন্য তাকে বেশ কয়েকটি উপাদান নিয়ে বিকাশ (he had to evolve)করতে হয়েছিল। প্রথমত, তার যৌনচারণায় নিবিড়ভাবে মনোনিবেশ করতে হয়েছিল এবং সহজেই যাতে মনোযোগ না ভাঙ্গে ( Firstly, his sex drive had to be intensely focused and not easily distracted.)। এই প্রক্রিয়াটি সে এমন ভাবে গড়ে ছিল যেকোন অবস্থায় যাতে সে যৌন চারণা করতে পারে। যেমন সম্ভাব্য কোন ভয়/হুমকী/ শত্রুদের উপস্থিতিতে, বা যে কোনও জায়গায় যৌনচারণার সুযোগ উপস্থাপিত হলে সে অনায়াসে করতে পারে।
শিকারি বা শত্রুদের দ্বারা যাতে ধরা পড়তে না পারার জন্য একজন পুরুষ স্বল্পতম সময়ে ও যেকোন স্থানে যত দ্রুত সম্ভব নারীর যোনিতে বীর্যপাত করা সম্ভব সে ব্যবস্থা করেছিল।। তাঁর বীজ/বীর্য যতদূর সম্ভব ও যতবার সম্ভব ছড়িয়ে দেওয়া দরকার মনে করেছিল।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কিনসে ইনস্টিটিউট, মানব লিঙ্গের গবেষণার বিশ্বজ্ঞানীরা (The Kinsey Institute in the US, world leaders in human sex research, ) জানিয়েছেন যে, সমাজের সামাজিক বিধিবিহীন,তারা বিশ্বাস করে যে সমস্ত পুরুষ সমাজের ৮০%বহুগামী। বহু মহিলারা সাথে যৌন সম্পর্ক করে।এবং এটাই সহজাত বিবর্তনের ফল। সমাজে বিয়ে একজনের মধ্যেই সীমিত রাখার ফলে,পুরুষের প্রতি সঠিক আচরণ প্রতিফলিত হলনা। যৌন অপরাধের সৃষ্টি হল।
নারীবাদী মহিলারা এই দশকে দেখা যাচ্ছে তারা নিজের জীবনকে অধিক ভোগ দিতে চায়। ফলে সন্তান প্রসব তাদের কাছে অবাঞ্ছিত। বিয়ের পরিবর্তে বেতনভোগী বৌ/ বা স্বামী আনলে অর্থনীতি আবার সাবেক প্রক্রিয়ায় ফিরে আসবে। সন্তান ও ঘর গৃহস্থালীর কাজ এগুলি কাউকে বেতন দিয়ে মহিলাদের কাছে পাওয়া যায়, যেমন বহু পরিচারিকা আছে, আমাদের সমাজে এ কাজ করে।
একজন মহিলাকে এই ২০২১ সালে ভারতে যেকোন রাজ্যে ১০ হাজার টাকা মাইনে দিলে ২৪ ঘন্টা সমস্ত পরিষেবা দেয়। তাহলে একজন পুরুষ কেন বিয়ে করে, একজন মহিলারা অভিযোগ শুনবে বা তার উপার্জনের টাকার ভাগ বসাবে? ভাবুন। মহিলারা বিয়ে করে ঘরের কাজ করে, খাওয়া পরা, থাকার বিনিময়ে ও পুরুষের উপার্জনের টাকার অর্ধেক ভাগ বসিয়ে কান্না করে তাদের নাকি মূল্য দেয়না। ঘরের বৌয়ের খাওয়া পর থাকার পয়সাটা কি তার বাপের বাড়ি থেকে আসে?
অনায্য দাবি ও কথা নয়কি?
এছাড়া ৩/৪ জনের সংসারে এমন কি কাজ থাকে মহিলার হাড়ভাংগা খাটুনি হয়? ওয়াশিং মেসিন, কুকার পরিচারিকা এত সবের পরও তাদের অনেক দাবি। পুরুষ যদি বেতনভোগী বৌ রাখে খাওয়া পরা থাকা ২৪ ঘন্টার জন্য আর কিছু মাইনে দিলেই ভারতের বহু মহিলার হিল্লে হয়ে যায়। নারীবাদীরা ভেবে দেখুন।
আমেরিকাতে ১৫% মহিলারা সন্তান হীনা পছন্দ করছেন। আর বিখ্যাত সিনেমার তারকারা এই প্রবণতাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছেন
বিয়ে প্রথা বাস্তবিক নারী পুরুষকে ক্রীতদাস বানিয়ে রাখে। অথচ আমরা এমন একটা যুগে বাস করি, যেখানে মানুষ, নারী বা পুরুষ, ব্যক্তিগত উৎকর্ষ বিকাশের সুযোগ ও ব্যক্তিগত সুখী জীবন চায়। সুখী জীবন কি পৃথিবীতে আদৌ কোনদিন আসবে? জীবন ক্রমশঃ জটিল থেকে জটিলতম আকার ধারণ করছে। কারণ মানুষ যখন সভ্যতার আলো দেখেনি তখন ছিল সরল জীবন। বন্যজীবন। আদিম জীবন। আজও মানুষের নিকটতম প্রজাতি বাঁদর শ্রেণিরা অনেক সুখে আছে। তাদের মধ্যে রাজনীতি বা দূষণ নেই। মানুষ কি তাদের চেয়ে ভাল আছে?
মগজের উৎকর্ষতা গ্রামে গঞ্জের মানুষদের নিরাপত্তা দিয়েছে? ভাবুন যুদ্ধ, মহামারী, আতঙ্কবাদ, জাতিগত দাংগা, রাজনৈতিক হত্যা ছাড়াও স্রেফ খাদ্য, বস্ত্র, আশ্রয় পৃথিবীর লোকসংখ্যার কতজনের আছে? পরিসংখ্যন বলছে, ২০২১ সাল, আজকে ৭৮৩ কোটি জনসংখ্যা, সূত্রঃ https://www.worldometers.info/world-population/ তার মধ্যে ৬৯কোটি লোকে র জীবিকা গরীব রেখার নীচে, মাসে ৪৫০০ ভারতীয় টাকা রোজগার হয়না।সূত্রঃ https://www.worldbank.org/en/topic/poverty/overview
শুধু তাই নয়, মানুষের ক্ষমতা কে সামাজিক আইন খর্ব করে দিয়েছে। আপনি ইচ্ছা করলেই কিছু করতে পারবেননা। সভ্যতা এই নিরিখে ভয়ঙ্কর অসভ্যতা। বাঁদর প্রজাতি এর চেয়ে অনেক ভাল।
বাঁদর প্রজাতির বিয়ে হয়না, তাদের কি সন্তান বা বংশধারা আবহমান কাল চলছেনা? সেখানে সুপ্রীমকোর্ট নেই, সেখানে জেলখানা নেই, সেখানে নারীবাদ ও পুরুষবাদ নেই, নিজের অস্তিত্বরক্ষার যুদ্ধ আছে। এই যুদ্ধ আছে বলেই জন্মে মানুষ বা প্রাণিরা চঞ্চল।
নারীবাদীরা অনেকদিন থেকেই বলে আসছে, বিয়ে প্রথা হল, পৈত্রিক তন্ত্রের মালিকানা সৃষ্টি বা দাসীগিরি। ফলে বৌ ভুল করলে, কথা না শুনলে তাকে পিটাও, বকাবকি কর, শাসন কর।
মহিলারা এই কথা স্বীকার করে নিয়ে নিজেকে অসহায় শিকার ভাবেন । দুঃখ বড় উপভোগের! মহিলারা কেঁদে কেঁদেও একপ্রকার সুখ পান।
দাম্পত্য কলহ সমাজে নতুন নয়, বা এমনিতেও সামাজিক কলহ আদিমকাল থেকে। কলহ মানে দুই পক্ষের মধ্যে কোন বিষয়বস্তুর সূত্রে অনৈক্য স্থাপন ও তারপর লড়াই করে নিজের শান্তি প্রতিষ্ঠা। সংসারে অর্থনীতি সমস্ত কিছুকে নিয়ন্ত্রণ করে। পুরুষ অর্থ উপায় করে ও সে বাহুবলে মহিলাদের থেকে শক্তিশালী। ফলে সে চাইবেই তার ঘরের মহিলা তার কথা শুনে চলুক।
আমরা দেখেছি বাচ্চারা মায়ের কথা না শুনে চললে, বাচ্চাদের চেয়ে মায়েরা অধিক বাহুবলী হয় ও শক্তি শালী, এবং শাসন করতে চায়। বাচ্চাদের পেটানো হয়। মানে মহিলারাও বাহুবল প্রয়োগ ভালই করে।
এই নিয়মটা প্রাকৃতিক। বাচ্চারা নিজেদের শিকার বা বলি ভাবেনা, মহিলারা ভাবে। কারণ মহিলারা অযথা পুরুষের সাথে প্রতিযোগিতায় নেমেছে।
এটা ঘটনা, বিয়ে প্রথা শুরু হয়েছিল, নিজের উত্তরাধিকারিকে চিহ্নিত করার জন্য। মহিলার গর্ভে যে শিশু জন্মাবে সে যেন অন্যপুরুষের না হয়। কিছুটা স্বার্থপরতা জুড়ে থাকা। অন্য পুরুষের হলে শিশুর চরিত্রও গূণাবলী অন্যরকম হবে। এই মানব জাতির মধ্যে বংশ ও উত্তরাধিকার আকাঙ্খা লক্ষ লক্ষ বছরের পুরাণো। ফলে নারী পুরুষ যৌন সংগমে নিজেকে নিশ্চিত করে নিতে চায়, একটী সন্তান তার যৌনসংগমে পৃথিবীর আলো দেখবে।
গবেষকরা বলেছেন, নারী এতই সন্তান প্রসবের জন্য নিজেকে বহু পুরুষের সাথে সংগমের জন্য তৈরী রেখেছে যে একই যৌন সেশনে একাধিক প্রচণ্ড উত্তেজনা(orgasms) পাওয়ার ক্ষমতা রয়েছে। মাসিক ঋতু স্রাবের সময়েও যে কোনও সময় যৌন মিলন করা এবং যৌনমিলনের সময় মহিলাদের প্রচুর াওয়াজ তোলার বাতিক বা প্রবণতা রয়েছে। এর পিছনে রয়েছে, আদিমকাল থেকেই মহিলারা এই আওয়াজ তুলে আরো পুরুষ কে আমন্ত্রণ জানাত যাতে, তার যৌন সংগম ব্যর্থ না হয়, কোন না কোন পুরুষের দ্বারা সে গর্ভবতী হয়।( propensity to make a lot of noise during sex — which they argue is a prehistoric mating call to encourage more men to come and join in. These evolutionary traits have occurred, they argue, to ensure breeding is successful) সূত্রঃ
আজ থেকে ১০ থেকে ৮ হাজার বছর আগে, যখন চাষবাস ও ক্ষমতা বান হয়ে উঠল কিছু মানুষ তখন সম্পত্তির বলে ১৭টি মহিলাকে ১জন পুরুষ গর্ভবতী করত। বৈজ্ঞানিকরা গবেষণা করে দেখেছেন। সূত্রঃ
These two graphs show the number of men (left) and women (right) who reproduced throughout human history. (Chart: Monika Karmin et al./Genome Research)
এর পিছনে একটা কারণ অনুমাণ করছেন গবেষকরা, যার কাছে সম্পত্তি ছিল বেশি সেই মহিলাদের বেশি কিছু দিতে পারত, আর মহিলারাও যার কাছে বেশি পেত তার অনুরক্তই ছিল।
আমি এখানে এটাই দেখাচ্ছি, নারী পুরুষ, যৌনকাঙ্খাতে বংশধর চেয়েছে এবং তা চিরন্তন সত্য। এবং নারী সেই পুরুষকেই বেশি যৌনসংগী বানায় যে তার অপরিহার্য প্রিয়বস্তু দিতে পারে। এবং বিয়েতে সেগুলিই মূল গুরুত্ব পায়।
কবে থেকে বিবাহের ধর্মীয় অনুষ্ঠান শুরু হয়েছিল? ধরা হয় ১২৫০ থেকে ১৩০০ সালের মধ্যে এই প্রতিষ্ঠান চালু ছিল, কিন্তু শুরু সম্ভবত আরো আগে হয়ে থাকবে। মূল লক্ষ ছিল পারিবারিক মৈত্রী, আত্মীয়তা বাড়িয়ে সুযোগ সুবিধা নেওয়া। অনেকে অর্থনৈতিক কারণে বিয়ে করে উথতে পারতনা কিন্তু প্রেম বা নরনারীর সম্পর্ক রাখত। সূত্রঃ The Spruce 10/02/19
ক্যাথলিক চার্চ ত্রয়োদশ শতাব্দী 13th century অবধি বিবাহকে কোনও ধর্মানুষ্ঠান হিসাবে গড়ে তুলেনি, এবং কেবল ষোড়শ শতাব্দীতে 16th century বিবাহের ক্ষেত্রে কঠোর ধর্মীয় আনুগত্য প্রয়োগ করা শুরু করেছিল প্রোটেস্ট্যান্টদের সমালোচনার প্রতিক্রিয়া হিসাবে।
বর্তমানে বিবাহের বিভিন্ন রূপ বিদ্যমান:
Common Law Marriage সাধারণ আইন বিবাহ: একটি অনানুষ্ঠানিক বিবাহ এবং আইনী নেটওয়ার্ক যা কিছু সময়ের জন্য একসাথে থাকার কারণে মানুষকে বিবাহিত করে।
Cousin Marriage কাজিনের বিবাহ: চাচাতো, মামাতো, খালাতো, ফুফাতো ভাই অথবা বোন; বাবা বা মায়ের চাচাতো, মামাতো, ফুফাতো ভাই বা বোনের ছেলে বা মেয়ে (2) দূর আত্মীয়; (3) সংশ্লিষ্ট জাতিভুক্ত কোনো ব্যক্তি; মধ্যে একটি বিবাহ।বহুরাজ্য প্রথম মামাতো ভাইয়ের (First cousins share a grandparent, either maternal or paternal. The children of your uncles and aunts are therefore your cousins or first cousins) বিবাহের অনুমতি দেয়।
• Endogamy এন্ডোগ্যামি: সমজাতির মধ্যে বিবাহ-প্রথা; অন্তর্বিবাহ। শুধুমাত্র স্থানীয় সম্প্রদায়ের সীমার মধ্যেই বিবাহ করার রীতি।
Exogamy এক্সোগ্যামি:অসবর্ণবিবাহ। আপনি যখন নির্দিষ্ট বংশ বা গোত্রের বাইরে বিবাহ করেন।
Monogamy একত্রীকরণ: একসাথে একজনকে বিয়ে করা।
Polyandry বহুভুক্তি: একাধিক স্বামী রয়েছে এমন মহিলাদের।
Polygamy বহুগামী: একই সাথে একাধিক স্বামী / স্ত্রী থাকার অভ্যাস।
Polygyny বহুবিদ: একাধিক স্ত্রী রয়েছে এমন এক ব্যক্তি।
Same-sex Marriage সমকামী বিবাহ: বিবাহিত একই লিঙ্গের অংশীদার।
বিবাহের প্রাথমিক উদ্দেশ্য ছিল মহিলাদেরকে পুরুষের সাথে বন্ধন করা, এবং এইভাবে গ্যারান্টি দেওয়া যে, কোনও পুরুষের সন্তান সত্যই তার জৈবিক উত্তরাধিকারী biological heirs । ফলে বিয়ের মাধ্যমে একজন মহিলা একজন পুরুষের সম্পত্তি হয়ে যায়। প্রাচীন গ্রিসের বিবাহোৎসব অনুষ্ঠানে একজন বাবা তাঁর কন্যাকে সম্প্রদানের সময় শপথের মতন বলতেন: “আমি বৈধ সন্তান জন্ম দেওয়ার উদ্দেশ্যে আমার কন্যাকে দিচ্ছি।(“I pledge my daughter for the purpose of producing legitimate offspring.”)” প্রাচীন ইব্রীয়দের মধ্যে পুরুষরা বেশ কয়েকটি স্ত্রী গ্রহণে স্বাধীন ছিল; বিবাহিত গ্রীক এবং রোমানরা উপপত্নী, পতিতা এবং এমনকি কিশোর পুরুষ প্রেমিকদের সাথে তাদের যৌন আবেদন মেটানোর জন্য স্বাধীন ছিল, যদিও তাদের স্ত্রীরা ঘরে থাকতে এবং বাড়ির কাজকর্মে ব্যস্ত থাকতে হত। স্ত্রীরা যদি সন্তান জন্ম দিতে ব্যর্থ হত তবে তাদের স্বামীরা তাদের ফিরিয়ে দিত এবং অন্য কারও সাথে বিবাহ করতে পারত।
বিবাহ এবং ধর্ম
বিবাহের একটি সংস্কৃতি বা ধর্মীয় সংস্কার (sacrament) হিসাবে ধারণা করা হয়, এবং শুধুমাত্র একটি চুক্তি নয়, এর সংযোগ দেখা যায় প্রথম শতাব্দীতে, সেন্ট পলকে (সাধু পৌল) যায় যিনি একজন স্বামী ও স্ত্রীর সম্পর্ককে খ্রিস্ট এবং তাঁর গির্জার সাথে তুলনা করেছিলেন (এফিষিয় ২৩-৩২)(Eph. v, 23-32).।
ব্যবহৃত ছবিগুলি ইন্টারনেট থেকে নেওয়া হয়েছে প্রতিনিধিমূলক বক্তব্যকে সাহায্য করার জন্য।
লেখাগুলি টেকটাচটক অনলাইন পোর্টালে সাহিত্যকাফে বিভাগে শনিবার করে প্রকাশিত হয়েছে। এখানে প্রথম থেকে ১৯ টি ধারাবাহিক খন্ড একসাথে পিডিএফ ফর্মাটে নীচে দেওয়া হল।
সাবালক হয়েগেলে সম্মতি নিয়ে যৌনজীবন কাটানো যেতে পারে। কারণ আজকাল এমরা নানা সমস্যার মুখে পড়ছি বিয়ের ব্যাপারে। মহিলারা বা পুরুষরা নানা রকম সম্পর্কের টানাপোড়েনে, বহুদিন এক ছাদের তলায় থাকা যাচ্ছেনা। সবাই তার নিজের জীবনকে আত্মকেন্দ্রিক হয়ে দেখে। ফলে বিবাদ বাড়ছে দেওয়া নেওয়া নিয়ে। তার চেয়ে অনেক ভাল নিজেদের মুক্তজীবন ও যৌন জীবনের দেনাপাওনা সহ একটা নির্দিষ্ট সময় অবধি চুক্তি করে থাকা। এছাড়া কলেজের জীবনে, বা দূর দেশে চাকরি জন্য গেলে যৌনজীবনে সংকট দেখা যায়। এসব নানা রকম ব্যবস্থা ও সমস্যা থেকে চুক্তি বিয়ে মানুষকে একটা পথ দেখায়। এখানে দুটি নমূনা চুক্তি পত্র দেওয়া আছে। একটি লিভ টুগেদার ( চুক্তি সম্মত নির্দিষ্ট সময়ের জন্য পাত্র পাত্রী, অন্যটি বিয়ে করতে গেলে কিরকমচুক্তি হয় তার নমূনা